‘আমাদের ঐক্যকে ধরে রেখে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি, সেটাই এখন কার জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মতামত দিয়েছেন। আমরা প্রশ্ন করেছি, পাঁচ মাস পরে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের কোনও প্রয়োজন ছিল কিনা? যদি থেকেই থাকে তাহলে রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, আইনি গুরুত্ব কী? সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ভিতরে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী কোনো শক্তি তাতে যাতে ফাটল ধরাতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনো দলিল যদি রাজনৈতিক ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয় তাহলে অবশ্যই আমরা সেই দলিলকে সম্মান করি। সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেয়া হয়, আলোচনা করা হয়, এই দিকটার পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে আমি অনুরোধ করেছি, এসব বিষয়ে খেয়াল করতে যাতে জাতীয় ঐক্যের ভিতরে কোনও ফাটল সৃষ্টি না হয়। আমাদের ভিতরেও যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, সেটিকে গণঐক্যে রূপান্তরিত করে সেটিকে আমরা যেন রাজনৈতিকভাবে চর্চা করতে পারি, রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিতরে আনতে পারি, সেই ঐক্যকে ধরে রেখে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি সেটাই এখনকার জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, আমাদের সাথে ছিলেন, তাদের সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য আমরা দিতে চাই। যাতে কোনো ফ্যাসিবাদি শক্তি ও দোসররা আমাদের ঐক্যের ভিতরে অনৈক্যের বীজ বপন করতে না পারে, সেদিকে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে আমরা এখানে এসেছিলাম, আলোচনা করেছি, পরামর্শ ও মতামত দিয়েছি- রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে।’