দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট, জালিম শাহীর পতনে রক্তাক্ত আত্মত্যাগ ও শাহাদাতের নজরানার মাধ্যমে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবে কওমী ওলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। ওলামায়েকেরামের এ সমুজ্জ্বল অবদানের ইতিহাস চেপে রাখার সবধরণের চক্রান্ত কঠোরভাবে রুখে দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।
তিনি শনিবার (১৮ জানুয়ারী) কক্সবাজার সফরকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরকারের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সংস্কারের নামে ঈমানী চেতনা ও ইসলাম বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত যেন না নেয়া হয় সে ব্যাপারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম সবসময় ইসলামের পক্ষে, দেশ ও জাতির স্বার্থে সমুন্নত অবস্থান ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে অটল-অবিচল। কোন ব্যক্তি বিশেষের মতবাদ বা বস্তুবাদ দিয়ে প্রকৃত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বা প্রকৃত সফলতা অর্জন সম্ভব নয়।
সফরকালে তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঈমান-আকিদা ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
আমীরে হেফাজত বিকেল ৪ টায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে সংগঠনের কক্সবাজার জেলা সচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিবের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। এসময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা ড. হারুন আজিজী নদভী, কক্সবাজার জেলা যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা আবছার উদ্দিন, সদস্য মাওলানা মোহছেন শরীফ, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা কেফায়ত উল্লাহ, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, মাওলানা সায়েম হোসেন চৌধুরী।
এছাড়াও ওলামায়েকেরামের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা আব্দুর রহমান জিহাদী, মাওলানা খালেদ সাইফী, মাওলানা জেএইচ এম ইউনুছ, মাওলানা জুনাইদ, মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা হাফিজ উদ্দিন, মাওলানা দিদারুল আলম, মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা আখতারুজ্জামান বোখারী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আজিজী, মাওলানা আকতার হোসাইন প্রমুখ।
সফরকালে তিনি সাংবাদিকদের আমন্ত্রণে কক্সবাজারের প্রেস ক্লাব পরিদর্শন ও বিশেষ মুনাজাত করেন। এসময় কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সদস্য শামসুল হক শারেকসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী হোটেল সী কক্সে নেতা-কর্মীদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে রামু গর্জনিয়া বড়বিল এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে তিনি দস্তারবন্দী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।