জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, মুফতি আমিনী রহ. এর জামাতা লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মুফতি বশির উল্লাহ, মুফতি শরীফুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম মাদানী-সহ সারাদেশে বহু আলেম-উলামাকে গ্রেফতার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের তাদের মুক্তির দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনার নামে লকডাউন দিয়ে সরকার সারাদেশে আলেম-উলামাদের উপর গ্রেফতার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। রমজান মাসে রোজা পালনকারী উলামা ও দেশপ্রেমিক তাওহিদী জনাকে গ্রেফতার করে, সাজানো মামলায় রিমান্ডে নিয়ে সরকার জুলুমের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। এ জুলুমের ফলাফল কখনোই শুভ হতে পারে না। লকডউনের নামে কারফিউ দিয়ে আলেম-উলামা ও দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে গ্রেফতার নির্যাতন কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আলেম-উলামা ও দেশপ্রেমিক জনগণের উপর এভাবে হামলা, মামলা, হত্যা, গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে সরকার বিদেশী প্রভুদের খুশী করতে চায়।
নেতৃদ্বয় বলেন, মাহে রমজানের পবিত্রতা বিনষ্টের জন্য দেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতার জুলুম, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। দেশে বিরাজমান ভীতিকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। মাহে রমাজানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগী নির্বিঘে পালনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে দেশের আলেম-উলামা ও দেশপ্রেমিক জনতাকে গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ ও গ্রেফতারকৃত উলামায়েকেরাম এবং তাওহিদী জনতার অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দাবি জানান। একই সাথে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীসহ দেশ প্রেমিক তাওহিদী জনতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।