ঢাকায় জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে ইমামে আযম আবু হানিফা রহ. এর জীবন, কর্ম ও অবদান শীর্ষক আন্তর্জাতিক ‘ইমামে আযম’ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বিএমএ মিলনায়তনে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান।
মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান বলেন, ইমামে আযম আবু হানিফা রহ. কেবল একজন ফকীহ বা ইসলামী আইনজ্ঞই ছিলেন না; বরং তিনি ইসলামের ভাবগাম্ভীর্য ও মূল আবেদনকে ঠিক রেখে উম্মাহের জন্য ইসলামকে জীবনঘনিষ্ঠ, সহজতর ও বাস্তবমুখী করে উপস্থাপনের অন্যন্য এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তিনি বলেন, তিনি ফিকহের বড় ইমাম ছিলেন, অসংখ্য হাদিসের হুফফাজ ছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, তিনি ছিলেন একজন বড় তাবেঈ। ইসলামী ইতিহাসের সাড়ে তের’শ বছরে যতগুলো মুসলিম সাম্রাজ্য অতিবাহিত হয়েছে, সবগুলোতে বিচার, আইন, শিক্ষা ও রাষ্ট্রনীতিতে অনুসৃত নীতি ছিলো ফিকহে হানাফী।
কনফারেন্সে অন্যান্য বক্তারা আরও বলেন, উম্মাহর মাসলাক ও ফিরকাগত মতানৈক্যকে এদেশে সবসময় রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার ফলে মানুষ ইলমী ও ফিকহী মতানৈক্যের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয় এবং মতানৈক্য মতবিরোধে রূপ নেয়। অথচ ইমামে আযম আবু হানিফা রহ. সহ ফিকহের ইমামগণ এবং আমাম বুখারী রহ. সহ হাদীসের ইমামগণ চেয়েছেন দীন ও শরীয়তকে মানুষের জন্য সহজতর করতে। মতভিন্নতার মাধ্যমে নতুন নতুন সমাধান বের করে নিয়ে আসতে। কিন্তু আজ দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বড়দের সেসব মতাক্যৈ ক্ষেত্রবিশেষ গোষ্ঠিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, মাওলানা আবদুল মতিন, মাওলানা শফি কাসেমি, মাওলানা ডক্টর নুরুল আবসার আজহারি, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মুফতী আবদুল্লাহ মাসুম, মুফতী লুৎফুর রহমান ফারায়েজি, মুফতী বেলাল বিন আলী প্রমূখ।
