শুক্রবার, জানুয়ারি ১০, ২০২৫

হাসিনা প্রতিটি জায়গায় গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়েছিলো : সারজিস

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি শেখ হাসিনা প্রতিটি জায়গায় গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়েছে। তার পরিবার প্রতিটি জায়গায় সিন্ডিকেট বসিয়েছে, সেগুলো শেষ করে দেশের প্রতিটি জায়গায় একটি সমতার সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা জেলা শহরের সরকারি স্কুল খেলার মাঠ সংলগ্ন ইলিশ ফোয়ারা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “বীরের জেলা ভোলা। এ জেলার বীর শহীদরা তাদের জীবন দিয়ে এ অভ্যুত্থান সফল করেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ দেশের ফ্যাসিস্টবিরোধী সকল দলমত, শ্রেণি, ধর্মের মানুষ লড়াই করেছি। আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন একটি ধারা দেখেছি যে ধারায় শুধু ভোটের প্রয়োজন হলেই নেতারা জনগণের কাছে আসতো। কিন্তু গত ১৬ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই ভোটের প্রয়োজনীয়তাও রাখেননি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা অভ্যুত্থানের যে স্পিরিট নিয়ে জীবন দিয়েছি, সেই স্পিরিটকে সামনে রেখে দেশের স্বপ্নগুলো একটি ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। তবে সেই ঘোষণাপত্র যেন কেবল কয়েকজনের কথা না হয়, বরং প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা প্রতিফলিত করে।”

ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে সারজিস বলেন, “ভোলার গ্যাস কেন ভোলার মানুষ পাবে না? উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল যেতে গিয়ে ভোলার মানুষ মারা যায়, তাহলে এখানে মেডিকেল কলেজ হবে না কেন? পদ্মা সেতু ও রেলসেতু নির্মাণে ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলে সম্ভাবনাময় ভোলার জন্য ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণে কেন অর্থ বরাদ্দ হবে না?”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের যে জায়গাগুলোতে চাঁদাবাজি হয়, সেগুলোর বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের শক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে। আমরা দেশের তরুণদের পার্লামেন্টে দেখতে চাই। ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে তরুণদের সেলফ সিকিউরিটি প্রদান করা সম্ভব। সরকারিভাবে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া এবং অভ্যুত্থানের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।”

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও ভোলা জেলার সমন্বয়করা।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টায় সারজিস আলম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার কবর জিয়ারত করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় ‘জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা’ স্লোগানে ভোলা জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে লিফলেট বিতরণ করেন এবং সাধারণ মানুষের মতামত শোনেন।

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img