ইতিহাসে প্রথমবার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলে ঢুকে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। বীরত্বপূর্ণ এই আক্রমণে ইসরাইলের অন্তত ২২ ইহুদী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি। আক্রমণের পাশাপাশি হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে দখলদার ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক শহরে ঢুকে পড়েছে।
হামাস যোদ্ধারা মোটরসাইকেল, এসইউভি ও প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে দখলদার ইসরাইলে প্রবেশ করেছে; যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন।
জানা যায়, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ঘায়েল করতে ৭টি পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করেছে হামাস যোদ্ধারা।
১। রাফাহ ক্রসিং:
রাফাহ ক্রসিং মিশর ও গাজার মধ্যে পারপার হওয়ার একমাত্র পথ। এই ক্রসিংটি গাজা ও বাকি আরব বিশ্বের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে, ২০০১ সালে ইসরাইলী বাহিনী “ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর” ধ্বংস করার পর থেকে এই ক্রসিংটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
২। বেইত হ্যানুন ক্রসিং:
বেইত হ্যানুন ক্রসিং গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত ও পুরোপুরি দখলদার ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি একমাত্র সীমান্ত ক্রসিং, যার মাধ্যমে গাজার ফিলিস্তিনিরা মিশর কিংবা জর্ডানেরে মধ্য দিয়ে না গিয়েও অধিকৃত পশ্চিমতীরে যাতায়াত করতে পারেন।
৩। কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিং:
কেরেম শালোম ক্রসিং মিশর, গাজা ও ইসরাইলের মধ্যকার সীমানা যেখানে মিলিত হয় তার কাছাকাছি অবস্থিত। এই ক্রসিংটি রাফাহ ক্রসিংয়ের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
৪। আল-মুন্তার (কারনি) ক্রসিং:
কারনি ক্রসিং এটি গাজার উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ও গাজা-ইসরায়েলের মধ্যে পণ্য স্থানান্তরের জন্য ব্যবহার করা হতো। তবে ২০০৫ সালের আগ পর্যন্ত ক্রসিংটি গাজায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
৫। আল-আওদাহ (সুফা) ক্রসিং:
সুফা ক্রসিং পূর্ব রাফাতে অবস্থিত এ ক্রসিং গাজার সবচেয়ে ছোট ক্রসিংগুলির মধ্যে একটি। আগে এটি বসতি স্থাপনের নির্মাণসামগ্রীর জন্য ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তবে ২০০৮ সালে ইসরায়েল এটি বন্ধ করে দেয়।
৬। আল-শুজাইয়াহ (নাহাল ওজ) ক্রসিং:
নাহাল ওজ ক্রসিংয়ের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পাইপ দিয়ে গাজায় গ্যাস, বেনজিন ও ডিজেলের মতো জ্বালানি পরিবহন করা হতো। ২০১০ সালে সালে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়।
৭। আল-কাররা (কিসুফিম) ক্রসিং:
কিসুফিম ক্রসিং খান ইউনিস ও দেইর আল-বালাহ এর পূর্বদিকে অবস্থিত। ২০০৫ সালে এ ক্রসিংটি বন্ধ হয়ে যায় ও এখন বিভিন্ন সামরিক উদ্দেশ্যে এটিকে ব্যবহার কর ইসরাইল।
সূত্র: আল জাজিরা
