সিলেট বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসকে দুর্নীতির আখড়া বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২ মে) সকালে সিলেট জোন, বিআরটিসি ও বিআরটএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট বিআরটিএ অফিস দুবার ভিজিট করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরা অনিয়মের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। একটি দুষ্টচক্র মাথাচাড়া দিয়ে জনগণের হয়রানির কারণ হচ্ছে। এরাই বাইরের দালালদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিএ’র যেসব গাড়ি আছে, সেগুলো যথাযথ মেরামত হয় কিনা তা দেখা হয় না। নতুন গাড়ি কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখা যায় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন। ভেতরে ছাল বাকল থাকে না। জানালায় গ্লাস থাকে না। এসি ফ্যান চলে না। এ রকম অবস্থা থেকে বিআরটিসিকে মুক্ত করা দরকার। বারবার বিআরটিসি লোকসান দেবে তা হবে না। সরকারকে আর কত ভর্তুকি গুণতে হবে? এতগুলো গাড়ি দেওয়ার পরও কেন বিআরটিসিকে লোকসান গুণতে হবে। কোথায় সমস্যা? নিশ্চয়ই শস্যের মধ্যে ভূত আছে। এ লোকসানে বৃত্ত থেকে বিআরটিসিকে বের করে আনতে হবে।
ঢাকা সিলেট চার লেন সড়কের কার্যক্রম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা আবার ঢাকা সিলেট চারলেন সড়কের কথা বলি। কিন্তু কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই এমন অবস্থা। এ জন্য সিলেটবাসী আমাদের ওপর খুবই অসন্তুষ্ট ও বিরক্ত। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কাজ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলে জনগণ হতাশ হবে। আমরা শুরু করে কাজে গতি দিতে পারলে জনগণের হতাশা চলে যাবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও প্রধান প্রকৌশলী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ঢাকা-সিলেট-তামাবিল চারলেন সড়কের কাজের খোঁজ খবর নেন। এ জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলবো, এ ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাক এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ ব্লাকস্পটগুলো সরলীকরণ করতে হবে।
