বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানসহ সকল ধর্মের লোক একসঙ্গে বসবাস করে আসছে। মসজিদ-মাদরাসা ও মন্দির পাশাপাশি অবস্থান করার নজীর বাংলাদেশেই রয়েছে। কিন্তু কোথায়ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ভারতের নির্বাচনের সময় ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন নাটক সাজিয়ে দুইজন মুসলিম শ্রমিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন মুসলমান হিসেবে কোনোভাবেই আমরা সহ্য করতে পারি না। ভারত পরিকল্পিতভাবে বংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা করছে। সরকারও এ বিষয়ে দায় এড়াতে পারে না। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে হিন্দুরা দুইজন মুসলিমকে হত্যা করার সাহস কোথায় থেকে পেলো দেশের মানুষ জানতে চায়।
তিনি আজ (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মিডিয়াতে এই হত্যাকান্ডে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান ও একজন মেম্বার জড়িত বলে প্রকাশ পেয়েছে। তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার না করে প্রশাসন নাটক করছে। দেশের মানুষ এতো বোকা নয়। পুলিশ চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। সুতরাং নাটক বন্ধ করে দুই মুসলিম হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের শিক্ষা সাংস্কৃতিসহ সব বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত । বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ত ও ইসলাম টিকিয়ে রাখতে হলে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং যারা ভারতের দালালী করছে তারা দেশ ও জাতীর শত্রু। তাদের প্রতিরোধ করা সময়ের দাবী।
তিনি বলেন, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ৩ বছরের অধিক সময় কারাগারে বন্দি। দ্রুত মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দিন। না হয় আমরা কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এতে দেশে কোনো অনাকাঙিঙ্খত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায় দয়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
পুরানা পল্টনস্থ দারুল খিলাফাহ মিলনায়তনে সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা কোরবান আলী কাসেমীর পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভ’ইয়া,সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি নুর মোহাম্মদ আজিজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী প্রমুখ।