ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল গাজ্জা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত দুইশ’র বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করেছে।
গাজ্জা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের সর্বসাম্প্রতিক হামলায় এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে মসজিদ, গির্জা, যাদুঘর ও ঐতিহাসিক স্থাপনা।
ইসরাইল যেসব ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে সেগুলোর মধ্যে ফিনিশিয়ান ও রোমান যুগের স্থাপনা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ থেকে ১৪০০ অব্দের স্থাপনাও রয়েছে।
গাজ্জা উপত্যকায় ইসরাইল যেসব মসজিদ ধ্বংস করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কবির-উল-উমর মসজিদ যেটি ১৪০০ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে।
গাজ্জায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন: উপত্যকায় ইহুদিবাদী সেনারা খ্রিস্টানদের যেসব ঐতিহাসিক স্থান এবং উপাসনালয় ধ্বংস করেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবালিয়ার বাইজেন্টাইন চার্চ, সেন্ট পোরফিরিয়াসের গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ এবং বালাচিয়ার বাইজেন্টাইন কবরস্থান।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজ্জা উপত্যকার ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল এই অপকর্মের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশনগুলো লঙ্ঘন করেছে যেখানে উপাসনালয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস নিষিদ্ধ রয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজ্জা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নিরপরাধ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।
গাজ্জার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল।
ইরানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বহু দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন কামনা করে। এসব দেশ মনে করে, ইসরাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিবাদীদের উচিত এই অবৈধ ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়া।
সূত্র : পার্সটুডে
