ডেলিভারি ম্যানকে হত্যার দায়ে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের ছেলে শেখ মুহাম্মাদের উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর, তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের ছেলে শেখ মুহাম্মাদের গাড়ি মোটরসাইকেলে থাকা ইউনুস এমরে নামক এক ডেলিভারি ম্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন ইউনুস। তাকে খুব দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে শেখ মুহাম্মাদের দোষ ছিল না বলে কোন শর্ত ছাড়াই তাকে জামিন দেয় স্থানীয় পুলিশ।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনার ৬ দিন পরে হাসপাতালেই মারা যান দুই সন্তানের বাবা ইউনুস। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখা হয় এই দুর্ঘটনার ভিডিও ফুটেজ। যেখানে দেখা যায় এই দুর্ঘটনার জন্য শেখ মুহাম্মাদ ১০০ শতাংশ দায়ী।
সঙ্গে সঙ্গে শেখ মুহাম্মাদকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। তবে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গত ২ ডিসেম্বর তিনি তুরস্ক ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
পরবর্তীতে, (শুক্রবার) সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তুরস্কে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তুর্কি প্রসিকিউটর।
এ বিষয়ে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি তার ছেলেকে তুরস্কে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য কানি তোরুণ।
এক এক্স বার্তায় তিনি সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনার ছেলে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় একজন তুর্কি মোটরসাইকেল চালককে হত্যা করেছে। অতঃপর তুরস্ক থেকে পালিয়ে গেছে। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে এটা আপনার জন্য ঠিক নয়। পাশাপাশি এটা সোমালিয়া সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা প্রদান করবে। অনুগ্রহ করে আপনার ছেলেকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আদালতে পাঠান এবং আক্রান্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিন।”
উল্লেখ্য, সন্দেহভাজন ব্যক্তির মুক্তির বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন ইস্তাম্বুলের মেয়র আকরাম ইমামোগ্লুসহ আরো অনেকে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর