মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫

ইসরাইলের হামলা ফিলিস্তিনিদের ‘নাকাবার’ কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে : জাতিসংঘ কর্মকর্তা

spot_imgspot_img

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কতৃক গৃহীত বর্তমান পদক্ষেপ গাজ্জা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, বরং নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। সেই সঙ্গে গাজ্জায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা বন্ধেরও আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) লাজারিনি বলেন, “গাজ্জা উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর ১৫০ টি ভবনে বাস্তচ্যুত ৭ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৫০ টি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে সংস্থার ৯৯ জন কর্মীকেও হত্যা করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “অনেক ফিলিস্তিনিকে এটি ১৯৪৮ সালের দেশত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। যখন ৭ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের শহর ও গ্রাম ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। যা ইতিহাসে নাকাবা নামে বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়াও ইসরাইল সরকারের ফাঁস হওয়া নথি পত্র সম্পর্কে অবগত হয়েছে ফিলিস্তিনিরা, যেখানে তাদেরকে সিনাই উপত্যকায় বিতাড়িত করা হবে বলে জানানো হচ্ছে।”

লাজারিনি আরো বলেন, “একজন ইসরাইলি মন্ত্রী গাজ্জাবাসীকে মানুষরূপী পশু বলে অভিহিত করেছেন, যা তাদের মনে আরো বেশি ভীতির সঞ্চার করেছে। আমি কখনো ভাবিনি, এই ২১ শতকে এসেও এই ধরনের অমানবিক ভাষা শুনতে পারব।”

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধানের মতে, দখলদার ইসরাইল কতৃক বর্তমানে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি জনগণের কাঙ্খিত শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ব্যার্থ হবে।

তিনি বলেন, “পার্শ্ববর্তী অঞ্চলটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া কখনোই হামাসের দ্বারা সংগঠিত কর্মকাণ্ডের জবাব হতে পারে না। বরং এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে নতুন একটি ক্ষুব্ধ প্রজন্ম তৈরি করছে, যারা সহিংসতা চালিয়ে যাওয়ার পথই বেছে নেবে। তাই এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।”

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img