ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে। ইসলামের সৌন্দর্যগুলো তুলে ধরে মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে আসতে হবে। বর্তমান মানবরচিত সংবিধানের কুফল এবং ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের সুফল মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে জুরাইন রেলগেট সংলগ্ন বিক্রমপুর প্লাজার সামনে আয়োজিত দেশব্যাপী দাওয়াতি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট ও মাফিয়া সরকারের মন্ত্রী-এমপি, আমলা ও সাঙ্গপাঙ্গরা কিভাবে দেশ ছেড়ে পালালো আমাদের তা বোধগম্য নয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগীরা এখনো অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে কঠোরভাবে আওয়ামী খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষকে ইসলামের পতাকাতলে নিয়ে আসার জন্য একযোগ সকল নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না থাকলে দেশ, মানুষ ও ইসলামের যে কী দূরাবস্থা তা বিগত সময়ে দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। এখন ইসলাম প্রতিষ্ঠার কল্যাণকর দিকগুলো তুলে ধরে মানুষকে বুঝাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে এবং এসব জায়গা থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, বিদেশে পাচারকৃত টাকা দেশে ফেরত আনার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কালো টাকার মালিক মজুদদার ও মুনাফাখোরদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ ফজলেবারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, ডা. শহীদুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, কেএম শরীয়াত্ল্লুাহ প্রমুখ।
