সাবেক সেনাপ্রধান কামার বাজওয়ার বিরুদ্ধে ডি-নোটিফাই বিশেষ ক্ষমতাবল প্রয়োগ না করার কারণ জানালেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শনিবার (৬ এপ্রিল) আডালিয়া কারাগার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
ক্ষমতা ছাড়ার আগ মুহুর্তেও ইমরান খান ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয় বরং দেশের স্বার্থে কাজ করছিলেন দাবী করেছেন।
এই দাবীর স্বপক্ষে তিনি বলেন, আমি চাইলে কামার বাজওয়াকে ডি-নোটিফাই (প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ক্ষমতাবল প্রয়োগ) করতে পারতাম। কিন্তু করিনি। আসলে আমি সেনাবাহিনীকে কখনোই বিপক্ষ মনে করিনি। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করিনি। কিন্তু কামার বাজওয়া আমার পিঠে ছুরি চালিয়েছে (বিশ্বাসঘাতকতা করেছে)। তখন এতকিছু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমি তার সাথে আলাপের জন্য কমিটি গঠন করেছিলাম। সরকার ভেঙে দেওয়ার পরেও আমি বাজওয়ার সাথে ২ বার বৈঠকে বসেছিলাম। তখন আমি যে কারো সাথেই বসতে রাজি ছিলাম। কেননা তখনও আমি ব্যক্তিগত স্বার্থে নয় বরং পাকিস্তানের স্বার্থেই কাজ করে যাচ্ছিলাম।
তিনি আরো বলেন, গ্রাফ জুয়েলারি সেটের মূল্য ৩ বিলিয়ন ডলার হিসেবে উপস্থাপন করে আমাদের তড়িঘড়ি করে সাজা শুনানো হয়েছে। অথচ আমরা ৩ জায়গা থেকে কোটেশন এনেছিলাম। কোটেশন মোতাবেক গ্রাফ জুয়েলারি সেটের মূল্য ছিলো মাত্র কোটি ৮০ লক্ষ রুপি।
উপযুক্ত টাকার বিপরীতে তোশা খানা থেকে উপঢৌকন সংগ্রহ কোনো অপরাধ নয় বরং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে এটি উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জারদারি ও শরীফ পরিবারের ব্যাপারে ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদ ও সেনাপ্রধান কামার বাজওয়ার বক্তব্য টেনে আনেন। আর বলেন, জারদারি এবং নাওয়াজ শরীফ তোশা খানা থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়েছে। কই তাদের বিরুদ্ধে তো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না! কেনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হচ্ছে না? প্রকৃতপক্ষে আমাকে দুর্বল করতেই মামলা সাজানো হয়েছে। বুশরা বিবি (ইমরান খানের স্ত্রী) কে সাজা শুনানো হয়েছে। আমাদের কিছু লোক আবার পার্টিকে ভেঙে দিতে এস্টাবলিশমেন্টের (পাক ইন্টেলিজেন্স ও সেনাবাহিনীর অত্যন্ত প্রভাবশালী সোসাইটি) সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। মূলত তারাই বুশরা বিবির বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অভিযোগ এনে যাচ্ছে।
দেশটির সাবেক ও অন্যতম সফল প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা ও পিটিআই দল নিষিদ্ধের অপচেষ্টা প্রসঙ্গে আরো বলেন, রাজনৈতিক বিষয়াদি সমাধানে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোর কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে ৬জন বিচারককে (ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ৬ বিচারপতি) আমি সালাম জানাতে চাই। তাদের উপরই এখন সকল আশা-ভরসা।
এছাড়া তিনি তোশা খানা মিথ্যা মামলা সাজানোর জন্য ন্যাবের চেয়ারম্যান এবং ইনআম শাহের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
সূত্র: এ আর ওয়াই নিউজ