ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী ফয়জুল করীম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সরকারের ব্যবসায় ধস পড়ছে, চেতনার ব্যবসা এদেশে আর চলবে না। জাতি সব বুঝে গেছে, সরকারের ভুয়ামি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পরও জাতিকে বিভক্তি সৃষ্টি করে এককভাবে ফায়দা নেওয়ার দিন শেষ আওয়ামী লীগের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার চেতনা কোনও একক দলের চেতনা নয়। স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাম্যের চেতনা সারা বাংলার মানুষের চেতনা। সরকার এটাকে পূঁজি করে ব্যবসা করে আসছে। ছাত্রদের রাজাকারের নাতি-পুতি বলে চপেটাঘাত খেয়ে এখন তা অস্বীকার করছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সরকার একটি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই দেশটিতে এখন কোনও গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা আছে, এটি মনে করার কোনও কারণ অবশিষ্ট নেই। সরকার আজ পর্যন্ত এত নির্মমতা, এত হত্যাকাণ্ড, এত নির্যাতন, এত নিপীড়নের পরও কোনও ধরনের দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী স্থাপনা ধ্বংসে মায়াকান্না করলেও শত শত জীবন চলে গেল এর জন্য অনুতপ্ত নেই, দু:খ নেই। এটাই সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে।
মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, দেশবাসী স্পষ্টভাবে দেখেছে, এই সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে ওবায়দুল কাদেরের কী পরিমাণ দায় রয়েছে। তিনি ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার পরেই কিন্তু সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। এই আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলন হয়ে গেছে। এখন সকলেরই উচিত যার যার অবস্থান থেকে এ আন্দোলনে নেমে পড়া, সহযোগিতা করা।
তিনি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, গ্রেফতার, টিয়ার সেল নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে গ্রেফতারকৃত সকল ছাত্র, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দাবি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।
