বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশে আজ নতুনরূপে বাকশাল কায়েম হয়েছে। মানুষ কথা বলতে পারেন না। সাংবাদিকরা লিখলে সাগর-রুনির পরিণতি ভোগ করতে হয়, জেলে যেতে হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে টুটি চেপে ধরে রেখেছে। অনেক সাংবাদিক আজ দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাকশাল-গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, বাকশাল কী জিনিস নতুন প্রজন্ম তা জানে না। সেসময় মায়ের বুকে যুবকরা ঘুমাতে পারতো না। আওয়ামী লীগ ও রক্ষীবাহিনী গণবাহিনী আখ্যা দিয়ে ৫০ হাজার যুবককে হত্যা করে। এই আওয়ামী লীগ মানেই গণতন্ত্র হত্যা। যখনই এরা ক্ষমতায় আসে তখনই খুন-গুম ও লুটতরাজের স্বর্গ তৈরি করে। লুট করে নেয় বাক-স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কপাল ভালো। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। জনগণ অলরেডি রাজপথে নেমে গেছে। জনতার স্রোতে ১৪৪ ধারা ভেঙে যাচ্ছে। সংক্রমণ একটু হ্রাস পেলে দেখবেন আন্দোলন কাকে বলে। আন্দোলনের তোড়ে এই সরকার ভেসে যাবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে! লবিস্ট কী জিনিস তাইতো আমরা জানতাম না। ১৪ সালে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসে নানা অপকর্ম ঢাকতে আপনারাই অর্থ দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন। আপনারা বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের গুম করছেন। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছেন, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন তা কী বিশ্ব দেখে না?