শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী ও ২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনারা

কাশ্মীরের শ্রীনগরের হায়দরপোরা এলাকায় দুইজন স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা ও দুইজন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে দখলদার ভারতীয় বাহিনী। নিহত দুজন সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে একজন দন্ত চিকিৎসক ও একজন ব্যবসায়ী রয়েছেন।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে হায়দরপোরায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানান, সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি হায়দার ও তার এক স্থানীয় সঙ্গী আমির মাগরে।

মাগরে বানিহালের বাসিন্দা। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

বিজয় কুমার বলেন, নিহত বাকি দুজনের নাম আলতাফ বাট ও মুদাসির গুল। তাদের মধ্যে আলতাফ ওই বাণিজ্যিক ভবনের মালিক। তারও ওই ভবনে একটি অফিস ছিল। আর মুদাসির গুল দন্তচিকিৎসক ও ব্যবসায়ী। হায়দরপোরার ওই ভবনে তার একটি কম্পিউটার সেন্টার ছিল।

তবে মুদাসিরকে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সহযোগী বলে দাবি করেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পুলিশ।

কিন্তু ভারতীয় পুলিশের দাবি প্রত্যাখান করেছেন আলতাফ বাট ও মুদাসির গুলের পরিবারের সদস্যরা।

আলতাফের বড় মেয়ের গণমাধ্যমকে বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন— আমার বাবাকে নিয়ে সংঘর্ষের সময়ে তিনবার ওই বাড়িতে ঢুকেছিল বাহিনী। দুবার তাকে ফিরতে দেওয়া হয়। তৃতীয়বার তিনি নিহত হন।

আলতাফের পরিবারের দাবি, তাকে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে মুদাসির গুলের মা বলেন, আমার ছেলে ডাক্তার। ওদের সঙ্গে ওর যোগ ছিল না।

তার বোন বলেন, বেশিরভাগ সময়েই দিল্লিতে থাকত মুদাসির। সোমবারই জম্মু হয়ে এখানে আসেন তিনি। এ দুজনের মরদেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন আলতাফ ও মুদাসিরের পরিবারের সদস্যেরা।

বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে কাশ্মীরের রাজনীতিকরাও। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, নিরীহ নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পরে তাদের ‘জঙ্গি’ সহযোগীর তকমা দেওয়া হচ্ছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img
spot_img