রাশিয়ার হস্তক্ষেপে ফের চুক্তিপত্রে সই করল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিল দুই পক্ষই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তিতে ‘জয়’ হয়েছে আজারবাইজানের।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনইয়ান বলেছেন, এই চুক্তি আমার এবং দেশের মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টের। তবে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এ চুক্তি মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
চুক্তির পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের বলেছেন, চুক্তি যাতে রক্ষিত হয়, তার দিকে নজর রাখা হবে। কোনো পক্ষই যাতে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে না পারে, সে দিকে নজর রাখা হবে। এই অঞ্চলে এবং দুই দেশের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় দুই হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। যারা শান্তির জন্য কাজ করবে বলে রাশিয়া দাবি করেছে।
এদিকে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, শুধু রাশিয়া নয়, তুরস্কের সেনাও সীমান্তে মোতায়েন করা হবে। তারাও শান্তির পক্ষে কাজ করবে।
চুক্তিতে ঠিক হয়েছে, নাগর্নো-কারাবাখে এই মুহূর্তে যার অবস্থানে যেখানে, সে সেখানেই থাকবে। গত এক সপ্তাহে আর্মেনিয়ার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর উদ্ধার করেছে আজারবাইজান। রোববার (৮ নভেম্বর) তারা রাজধানীর খুব কাছে পাহাড়ের উপর একটি স্ট্র্যাটেজিক শহর উদ্ধার করেছে। যেখান থেকে রাজধানীর উপর নজরদারি চালানো সম্ভব। ফলে চুক্তির বয়ান অনুযায়ী লাভ হলো আজারবাইজানের। এই চুক্তিকে উভয় পক্ষ মেনে নিয়েছে।
প্রায় ছয় সপ্তাহ যুদ্ধের পর এই চুক্তি হলো। মাঝে তিনবার যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। দুইবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় এবং একবার অ্যামেরিকার হস্তক্ষেপে। কিন্তু তিনবারই চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ভঙ্গ হয়েছে। তবে সোমবারের চুক্তি ভঙ্গ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এবিষয়ে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনইয়ান বলেন, চুক্তি মেনে না নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। যুদ্ধ বন্ধের জন্য চুক্তি প্রয়োজন ছিল। তবে এই চুক্তি তাকে এবং তার দেশের মানুষকে ব্যথিত করেছে। বস্তুত, চুক্তি সই হওয়ার পরেই আর্মেনিয়ার রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষ চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তবে আজারবাইজানের কাছে পরাজয় বরণ করা ছাড়া আর্মেনিয়ার আর কোন এখন বাকি নেই।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
